He studied in Azadi University. he is Islamic lecturer in the world and all muslims introduce of him he is a copy of Maulana Tariq Manwar but face is different.
He is talent lecturer in the world everyday he has given lecture of any place in the world. he is most introduce to young generation in Bangladesh.
ইসলাম ধর্মে জ্ঞানার্জনের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যাপারে নানা দিক নির্দেশনা রয়েছে। চিকিৎসা বিষয়ে কুরআনে উল্লেখিত বিষয়াদির ব্যাপক গুরুত্বের কারণে এ পর্যন্ত এ ইস্যুতে বহু সেমিনার ও সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি 'কোরআন ও চিকিৎসা বিজ্ঞান' শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সেমিনারে কুরআন ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেছেন।
জ্ঞানার্জন বিশেষ করে চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর ইসলাম ধর্ম গুরুত্বারোপ করার কারণে মুসলমানরা ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই এ ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এর ফলে মুসলমানরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হন। আবু আলী সিনা, জাকারিয়া ও ইবনে রূশদসহ আরও বহু মুসলিম মনীষী চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তারা চিকিৎসার নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ইসলামের প্রথম শতাব্দিতেই মুসলিম বিশ্বের নানা প্রান্তে বহু সমৃদ্ধ হাসপাতাল গড়ে ওঠেছিল। এসব হাসপাতালে বিশেষ বিশেষ রোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা আলাদা ইউনিটও ছিল। ফ্রান্সের বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদ পিয়েরে রুসো তার বিজ্ঞানের ইতিহাস বইয়ে চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অগ্রগতি সম্পর্কে লিখেছেন, একবার স্পেনের এক বাদশা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে উপায়ান্তর না দেখে কর্ডোভা শহরে মুসলমানদের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।
চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের দিক-নির্দেশনা নিয়ে আলোচনার আগে এটা বলে রাখছি যে, কুরআনে চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দিকনির্দেশনা থাকলেও তা চিকিৎসা শাস্ত্রের বই হিসেবে বিবেচিত হয়না। আল্লাহতায়ালা নিজেই বলেছেন, কুরআন হচ্ছে মানুষের জন্য সরল ও সঠিক পথের নির্দেশক এবং তা পারলৌকিক ও পার্থিব জীবনের কল্যাণ নিশ্চিতকারী গ্রন্থ। কুরআনে চিকিৎসা শাস্ত্রের কথা উল্লেখ করার অর্থ হলো মানুষের কল্যাণে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বকে তুলে ধরা। 'কোরআন ও চিকিৎসা বিজ্ঞান' শীর্ষক সেমিনারের সচিব মোহাম্মদ আব্বাসি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক দিকগুলোর একটি হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান, যা বিশ্বের গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমরা যদি মনোযোগের সাথে কুরআনের আয়াতগুলো লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই, আসমানী এ গ্রন্থে মানুষের দৈহিক ও মানসিক রোগ নিরাময়ের বিষয়টি একইসঙ্গে রয়েছে। সুরা রা'দের ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, জেনে রাখুন, কেবলমাত্র আল্লাহকে স্মরণের মাধ্যমেই আত্মা প্রশান্তি লাভ করে।
অন্যদিকে, আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরে যাবার কারণে মানুষ দুরবস্থায় পতিত হয় বলেও এই মহাগ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সঙ্কট ও সমস্যার মুহূর্তে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। ধৈর্য্য ধারণের পাশাপাশি আল্লাহর স্মরণ মানুষকে আত্মিক প্রশান্তি দেয়। পাশাপাশি এর ফলে মানুষের কঠিন পরিস্থিতি ও সমস্যা মোকাবেলার শক্তিও বৃদ্ধি পায়। ইসলাম মুসলমানদেরকে এ শিক্ষা দেয় যে, আনন্দ এবং দুঃখ-কষ্ট উভয়ই ক্ষণস্থায়ী। কাজেই মানুষকে যে কোন কঠিন পরিস্থিতির জন্যও সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে এবং দুঃখ-কষ্টকে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ধরনের পরীক্ষা হিসেবে গণ্য করতে হবে। আল্লাহতায়ালা নানা ভাবে মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন। আর এর ফলে ঈমান আরও দৃঢ় হয়।
0 Comments